কিবরিয়া হত্যা ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন আরও ৭ জন
- আপলোড সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ১২:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৪-০৫-২০২৫ ১২:১৫:২৪ পূর্বাহ্ন

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা এবং সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আরও সাত জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ২০ মে ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে মামলা দুটির পৃথক সাক্ষ্য গ্রহণ করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার। এর আগে ৭ মে দুই মামলায় চার জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রণবীর রায় ও পরীক্ষিত বৈষ্ণব। কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরজদ আলী, ফরিদ মিয়া, মর্তুজ আলী, খায়ের আলী ও আবুল হোসেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. আবুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলায় দুজন এবং শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পাঁচ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলায় জামিনে থাকা আসামিদের মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়েছেন। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তারা জামিনে আছেন। কারাগারে থাকা আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত এবং অন্তত ৭০ জন আহত হন।
ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ১৮ মার্চ শহীদ জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল কাইউমসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এর বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করে বাদীপক্ষ। পরে মামলা পুনঃতদন্তের পর ২০১১ সালের ২০ জুন আসামির সংখ্যা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ২৬ জনের নামে দ্বিতীয় দফা অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এটি নিয়েও আপত্তি জানায় কিবরিয়ার পরিবার।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স¤পূরক অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপির নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় আরিফুল হক ও হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র জি কে গৌছ, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৩ জন জামিনে রয়েছেন। অন্যদের মধ্যে সাত জন পলাতক। মামলায় ১৭১ জন সাক্ষী। এর মধ্যে ৭১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকি অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিটু, হাফেজ সৈয়দ নাঈম আহমদ ওরফে আরিফ ওরফে নিমু, মাওলানা শেখ ফরিদ আহমদ, আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাট, আবু জান্দালসহ অন্যরা কারাগারে রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ জুন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। গ্রেনেড বিস্ফোরণে যুবলীগের এক কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত ও ২৯ জন আহত হন। অল্পের জন্য রক্ষা পান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ওই ঘটনায় দিরাই থানার এসআই হেলাল উদ্দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর লুৎফুজ্জামান বাবর, আরিফুল হক চৌধুরীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় ১২৩ জন সাক্ষী রয়েছেন। এর মধ্যে ৫৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ